জুলাই অভ্যুত্থানে অন্যতম সংগঠক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাদিক কায়েম জানিয়েছেন, ৩ আগস্ট তিনি-ই প্রথম প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ইউনূসকে দায়িত্ব গ্রহণে রাজি করানো।
এক সাক্ষাৎকারে সাদিক কায়েম জানান, জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ যখন চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছিল এবং সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র, তখন তিনি প্রফেসর ইউনূসের বিশেষ সহকারীর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং একটি বিস্তারিত ইমেইলের মাধ্যমে ইউনূসকে আন্দোলনের পটভূমি, খুন-গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, “সরকার পতনের পর যিনি দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, এমন একজন নিরপেক্ষ ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছাড়া বিকল্প দেখিনি।”
ইউনূস তাঁর উত্তরে আন্দোলনের নেতৃত্ব ও ছাত্রদের ভূমনার প্রশংসা করেন এবং এটিকে “বিশ্বের বুকে এক নজির” বলে উল্লেখ করেন। এই ইমেইলের পরদিন, ৪ আগস্ট, সাদিক কায়েম ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক নির্ধারিত ছিল।
জুলাই অভ্যুত্থানে পেছন থেকে সমন্বয় ও সাংগঠনিক সহায়তায় সাদিকের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সরকার বিরোধী আন্দোলনের এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি জানান, “আমরা শুধু সরকারের পতন নয়, একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল শাসনের স্বপ্ন দেখছিলাম। সেটার রূপরেখায় প্রফেসর ইউনূস ছিলেন প্রথম পছন্দ।”