এক রাখাল রাজার দাম ১৫ লক্ষ টাকা তাও বাবার মাত্র। এই রাখাল রাজার গল্প শুনাতে চলেছি আজ। ২০১৭ সালেরর ১৬ জানুয়ারীতে জন্ম নেয় এক ব্যবসায়ীর ঘরে। ছোট থেকেই শুসম ও স্স্থু দেহের অধিকারী ছিলো রাখাল রাজা। জন্ম নেওয়ার কয়েক মাস শুধু মায়ের দুধ ছিলো তার প্রধান খাদ্য। দুই তিন মাস পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি সোলা, ভাত, কলাসহ পুষ্টিকর খাবার খেতো সে। এরপর ছয়সাত মাস থেকেই তার খাবের যোগ হয় কাঁচাঘাষ, বিচুলি, খৈইল, পলিশ, ভূষি ইত্যাদি। এখন তার বর্তমান বসয় দুই বছর ৬মাস, এর মধ্যে তার খাবারের জন্যই খচর হয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকারও বেশি। এখন আগামী কোরবানীর ঈদকে সমনে করে তার দাম উঠানো হয়েছে ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা। এমনি এক রাখাল রাজার গল্প শুনছিলাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী বাজারের আলম হোটেলর মালিক মোঃ শরিফুল আলম এর নিকট থেকে। হ্যাঁ বন্ধুরা আমরা সেই রাখাল রাজার (গরু) কথা শুনছিলাম এতক্ষণ। এই গরুটির আনুমানিক অজন ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ মণের অধিক। তার অজনের তুলনায় তার দাম বেশি চাওয়া হয়নি বলে মনে করেন বাজারের মাংশ ব্যবসায়ীরা।
জানাযায়, শখের বসে পরিপল্পিত ভাবে নিজ বাড়ীতে গরুর খামার গড়ে তুলেন আলম সাহেব। ইচ্ছা ছিলো বড় একটি ষাড় পালন করবে নিজ খামারে। সেই ইচ্ছাকে পোষণ করেই তিনি এই রাখাল রাজা (গরু)কে পালন করেন। একদিকে নিজে নিরলস প্রচেষ্টা আর অন্যদিকে তার স্ত্রীর পরিশ্রমে আজকের এই রাখাল রাজা (গরু) এতো বড় হয়েছে। তার খামার করার পাশাপাশি বড় গরু পালন করার সেই ইচ্ছাও আজ পূরন হয়েছে। খামারে দেখা মিলেছে ২৫ মণ ওজনের গরুর। প্রতিদিন গরুটি দেখতে খামারে ভীড় করছে উৎসুক জনতা। তার এই খামারে কাজ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে ।
গত শুক্রবার গরুটি স্থাণীয় হলিধানী বাজারে আনা হয় জনতাকে দেখানো উদ্দেশ্য করে, সেখানে শত শত মানুষ ভিড় জমায় রাখাল রাজাকে একনজর দেখার জন্য। আবার অনেকেই আলমের খামারের বড় গরু দেখে খামার তৈরির পাশাপাশি বড় গরুর খামার করতেও উদ্বুদ্ধ হয়েছে।
শরিফুল আলম বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল বড় গরু লালন-পালন করার। সেই স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। আমার এই সফলতার পেছনে আমার পরিবারের অবদান রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ পেয়ে আমি আজ গরুটা বড় করতে পেরেছি। এখন আমার এই রাখাল রাজাকে ন্যায্য দামে বিক্রয় করতে পরবো কি না সে চিন্তাই আছি। তবে আশা করি বাজার দামেই গরুটি বিক্রয় করতে পারবো।

