ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ফের এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। আগের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও এমন ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গভীর রাতে মুখ চেপে ধরে নির্যাতন
ঘটনার শিকার নারী জানান, রাতে বাথরুমে যাওয়ার সময় স্থানীয় দুই ব্যক্তি—রাসেল ও গিয়াস উদ্দিন মুখ চেপে ধরে তাঁকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। এরপর গিয়াস উদ্দিন তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং রাসেল সেই দৃশ্য ভিডিও করে বলে দাবি করেন তিনি।
নারী আরও জানান, দ্বিতীয় দফায় রাসেল তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি সজোরে ঠেলে নিজ ঘরে ফিরে আসেন। কিন্তু এরপর থেকে অভিযুক্তরা ব্ল্যাকমেইল, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
“তারা বলছে, আমার ভাইয়ের নামে গাঁজা দিয়ে মামলা দেবে, ছবি ফেসবুকে ছড়াবে—আমি এখন কোথায় যাব? আমি বিচার চাই।”
আসামিরা বিএনপি কর্মী, আগেও জড়িত বিতর্কে
অভিযোগ অনুযায়ী, রাসেল ও গিয়াস উদ্দিন স্থানীয়ভাবে সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ইব্রাহিম হাওলাদারের অনুসারী। ইব্রাহিম এর আগে ভিজিডির চাল বিতর্কে এক নারী নেত্রীকে উলঙ্গ করে মারধরের ঘটনায় দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
থানায় অভিযোগ, তদন্তে নামছে পুলিশ
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,
“ভুক্তভোগী থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে
গত ২৮ জুন মধ্যরাতে তজুমদ্দিনের চাঁদপুর ইউনিয়নের মাওলানাকান্দি এলাকায় এক নারীকে ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ৩০ জুন ওই ঘটনার মামলা দায়ের হয়। নতুন ঘটনায় আবার একই ইউনিয়নে আরেক নারী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে।