কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীর বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে রবিবার ভোরে আটক করা হয়। অন্য চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে।
রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ২৫ বছর বয়সী ওই নারী প্রায় দুই সপ্তাহ আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে, বাড়ির পাশে পূজা চলছিল বলে পরিবারের অন্য সদস্যরা বাইরে ছিলেন। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি তার ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে। তিনি দরজা না খুলে দিলে ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে যান। প্রতিবেশীরা জানান, তারা গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা ভাঙা এবং ওই নারীকে নিপীড়নের শিকার অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর কিছু লোক অভিযুক্ত ফজর আলীকে আটক করে মারধর করেন। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পর সে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার ভিডিও ধারণ ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন – মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। গ্রেপ্তারকৃত সকলের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।
মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।